কালবৈশাখী ঝড় (স্বর্নালী দে রায়)
- NM84 Members
- Oct 1, 2022
- 6 min read
বুবুন রোজ দুপুরে পিছনের বারান্দায় বসে থাকে।
সকালে স্কুলে যে যে পড়াগুলো হয়, দুপুরে তার হোম ওয়ার্ক করে।নতুন পড়া যে গুলি করতে হবে, তা রেডি করে রাখে, সন্ধ্যাবেলা মায়ের কাছে করতে হবে। এই পিছনের বারান্দাটা বুবুনের খুব প্রিয়, ডাইনিং টেবিলের চারদিকে চারটে চেয়ার, বেডরুম দুটো বারান্দার দুই পাশে, একসাইডে রান্নাঘর। ঘরের সমস্ত কর্মকান্ড এই বারান্দাকে ব্যাসার্ধ করেই হয়। বারান্দার গ্রিলের বাইরে বিরাট ফাকা জায়গা। পিছনের কোয়ার্টার গুলো বেশ কিছুটা দূরে দূরে, মাঝখানে ছোটো ছোটো গাছ, ড্রেন, ইত্যাদি। বুবুনদের বারান্দার কোনাকুনি দিয়ে বহু দূর পর্যন্ত সোজা মাঠ দেখা যায়, উচু নিচু হয়ে সুদূরের সে মাঠ দিগন্তে মিশে গেছে। সেই সুদূরের দিকে তাকালে এক পাশ দিয়ে এক-চল্লিশ নম্বর রাস্তার শেষের দিকটা দেখা যায়। উচুনীচু মাঠের বিভিন্ন জায়গা দিয়ে মানুষ হেটে বা সাইকেলে করে সাওতাল অধ্যুষিত গ্রাম গুলো থেকে হিন্দুস্তান কেবেল্সের সীমানা অতিক্রম করে চিত্তরঞ্জনের দিকে যাতয়াত করে। বুবুনদের কোয়ার্টারটা অনেকটা উচু জায়গায় এবং হিন্দুস্তান কেবেল্সের একদম কর্ণার সীমান্তে, অতএব মাঠের দিকে তাকিয়ে অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তারিত ভাবে দেখা যায়। গরমের দুপুরে মা শুয়ে পরলে, বুবুন বারান্দায় বসে রোজ টিচার টিচার খেলে। স্টুডেন্টস পড়াতে পড়াতে হ্ঠাৎ সোঁ সোঁ আওয়াজ শুনতে পেলেই বোঝে কালবৈশাখী আসছে। শালপাতা আর ধুলোয় মাখা ঘূর্ণি ঝড়কে ছুটে আসতে দেখে সে, মাঠের পর মাঠ ছারিয়ে অজয় নদের পার থেকে ছুটে আসে। এই সময় বুবুন মুহূর্তের মধ্যে বাইরের জামা কাপড় তুলে নিয়ে সব জানালা দরজা বন্ধ করে দেয়। তারপর, বারান্দায় বসে ঝড় দেখে, তপ্ত মাটিতে বৃষ্টির ফোটা দূর থেকে এসে ছিটকে ছিটকে পড়তে শুরু করে, সেই সঙ্গে সোঁদা সোঁদা গন্ধ যেন এক অন্য তৃপ্তির অনুভূতি জাগায়। এই গন্ধের টানে বুবুন ঝড়ের সময় বারান্দায় গ্রিলে চুপচাপ দাড়িয়ে থাকত।
বুবুন বারান্দা থেকে সুদূর অজয় নদের প্রান্তে তাকিয়ে তাকিয়ে অনেক কিছু ভাবতে থাকে। ওইপারের মানুষগুলো কেমন, কিভাবে তারা এই এতদুরে আসে, এদিকে নিশ্চয়ই আমলাদহি মার্কেট থেকে কেনাকাটা করতে আসে, হয়তো কারখানায় কাজ করতে আসে। সেইসঙ্গে দূরের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে এটাও ভাবে যে কখন ওইখানে যাবে, ওই দিকটা কেমন।ও দিকের কথা তো কখনও শোনেনি, এদিকের মানুষজ্ন কেউ তো ওদের কথা বলে না । সবাই যে যার কোয়ার্টারের আসে পাসের সকলের সঙ্গে মেলামেশা করে, ডিউটির সময় সাইকেল করে চলে যায়, নিজের শিল্প শহরটাকে নিয়েই ব্যস্ত, নিজেদের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, ও চাকরির পদমর্যাদা নিয়েই সকলে চিন্তিত। কাউকেই ওই দিগন্ত রেখার প্রান্ত মানুষ জনকে নিয়ে কথা বলতে কখনও শোনেনি বুবুন। একসময় বিকাল হয়ে যায়, জলখাবার খেয়ে বুবুন বাগানের গাছে জল দিতে যায়, তারপর কখন সন্ধ্যা হয়ে যায়, পড়তে বসা, মায়ের বকুনি । তাই মনের ইচ্ছাটা মনেই থেকে যায় ।
কিছুদিন পর শীতের ছুটিতেবাড়িতে দুই মাসি বেড়াতে এলো সপরিবারে। খুব মজা শুরু হল। পরের দিন সকালে মাসতুতো ভাইবোন ও পাড়ার দুই তিনটা বাচ্ছা মিলে অজয় নদের পাড়ে চললো বুবুন। বাড়ি থেকে বেড়োবার সময় সে মা কে বলল, পিছনের মাঠে রোদ্দুর পোহাতে যাবে, কিন্তু বুবুনের মন সুদূর দিগন্তের দিকে উকিঝুকি মারতে থাকল। বাড়ির পিছনের কোয়ার্টার গুলো ছাড়িয়ে, খেলার মাঠ ছাড়িয়ে, লোয়ার কেসিয়ার সীমানার কালভার্ট ছাড়িয়ে, দূর মাঠের দিকে রওনা দিল তারা। বাড়ি থেকে যে নদীকে সে সীমানার পরে দেখতে পেত, তার কাছে যাওয়ার জন্য মন নেচে উঠল। অনেকটা হেটে, পীচরাস্তা শেষ করে, উচু মাঠের দিকে উঠে পড়ল বুবুনরা। অচেনাকে দেখার আনন্দে, অচেনাকে পাওয়ার আনন্দে, সব কিছু পিছনে ফেলে এগিয়ে চলল তারা। মনের আনন্দ শুধু মনই বোঝে। হাতে গাছের কুল, পেয়ারা আর বিট নুনের মোচা।
কিছুদূর যাওয়ার পর, পাথরে ভরা অসমতল মাঠে হাঁটতে হাঁটতে সবাই বিরক্ত হতে থাকল। আর কত দূর অজয় নদ!হাতের কুল ও পেয়ারা শেষ হয়ে এলো, মানুষ জ্ন কোথাও দেখা যায় না, দূরে দূরে কোন ও একটা লোক সাইকেল চালিয়ে মাঠের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চলে যাচ্ছে। মাস্তুতো দাদা দিদিরা বিরক্ত হতে থাকল, কোলকাতা থেকে এসেছে, এই পাথুরে উচু মাঠের উপর দিয়ে হাটতে গিয়ে পায়ের জুতো উল্টে যাচ্ছে, শীতের রোদ মাথার তালু ফাটাচ্ছে।
বুবুনের কান্না পেতে থাকল, কিন্তু মুখে কিছু বলতে পারছে না। বড় গলা করে বাড়ী থেকে বলে নিয়ে এসেছে, আমাদের বাড়ির কাছে অজয় নদ, বারান্দায় বসে সে দেখতে পারে। কলকাতা বাসির কাছে সেটা এক চমক, না জানি কি অপরূপ সে দৃশ্য। মনের ভয় মনে চেপে রেখে মুখে বলতে লাগল, এই তো আর একটু, সামনেই। বৃষ্টি আসার আগে কি রকম কালো মেঘ জমে, আকাশ কালো ঘন হয়ে যায় অজয় নদের মাথার উপর, আমি তো বারান্দায় বসে আগেই দেখতে পাই, এইসব আর কি। পিছনের দিকে তাকাতেও ভয় লাগছে। বাড়ি আর দেখা যায় না, বরং বাদিকের শেষে চিত্তরঞ্জন ফ্যাক্টরির সীমানা ছাড়িয়ে শুধুই ফাকা, কিছুটা পরে একটা ঢালু জায়গা যেন চোখে পড়ল। ধুধু বালির চড় দেখা যেতে থাকল, সেই দিক লক্ষ্য করে বুবুনরা হাটতে থাকল। আর ও কিছুটা যাওয়ার পর বুঝতে পরলো সেটা একটা নদী, চিকচিক করে বালি, কোথা নাই কাদা চিৎকার করে বুবুন বললো, দেখেছিস এবার এই যে আমাদের অজয়, কত লম্বা হয়ে চলে গেছে দেখ। দাদা দিদিরা বলে উঠলো, কি সরু নর্মদার মতো, এই না কি একটা নদী! লোকজন সব সাইকেল নিয়ে পাথরের উপুড় দিয়ে পার হচ্ছে, নদী হবে গঙ্গার মত, এপার ওপার দেখা যায় না, কি স্রোত, কত লঞ্চ চলছে, মাথার উপর আমাদের হাওড়া ব্রিজ, আর এটা কি, এটা তো একটা মরা নদী, দেখ না জলই নেই। এত কষ্ট করে এইজন্য আসা! বুবুনের মুখ লজ্জায় শুকিয়ে গেল, মনে বিরক্ত হতে লাগল, কিন্ত পরাজয় স্বীকার করা কিছুতেই যাবে না। সে বলে চললো, এখন শীত শেষ হচ্ছে তো বৈশাখ মাসে হাটু জল থাকে, দেখেছিস আমাদের নদী চলে আঁকে বাঁকে। দুই ধার উঁচু তার ঢালু তার পাড়ি, রাতে শেয়াল ডাকে, বুঝতে পারছিস শিয়াল আছে কিন্তু। জানিস না,এই নদীই তো দামোদর নদে গিয়ে পরেছে।
সবাই মিলে নদীর পাড় বরাবর হাটতে থাকল, কিছুটা দূরে দূরে মৃতদেহ সতকারের চিহ্ন চোখে পড়ল, তাই দেখে ভয়ে কোলকাতা বাসিদের বুক ধড়ফড় শুরু হয়ে গেল। একে অপরকে বলতে লাগল, দুপুর বেলা ভুতের হাওয়া আছে রে, এই ধূ ধূ মাঠে। অতএব, মানুষজন খুজতে যেই দিকে দূরে গ্রাম দেখা যায়, সেই দিকে এগিয়ে চলল সবাই। কিছুদূর এগিয়ে যাওয়ার পরে, সাঁওতাল পাড়া দেখতে পেল। মাটির আস্তরের প্রলেপ দেওয়া অপুর্ব নক্সা কাটা ঘর, উঠোনটাও মাটি দিয়ে লেপে সুন্দর আলপনা দেওয়া। ঘরের চারধারের দেওয়াল সুন্দর মাটির রঙে নকসা কাটা। বুবুন নিজেও মায়ের সাথে ঘর সাজায় নানা রকম হাতের কাজ দিয়ে, কিন্তু সে দিন সেই আপরূপ হাতের কাজ দেখে, চোখ অভিভুত হয়ে গিয়েছিল। কালবৈশাখী ঝড়ের মত মনের গভীরেও এক ঝড় খেলে যায়। কৃষ্ণকায় চেহারার ছোটো ছোটো শিশুগুলিকে দেখে বুবুনের মনে হয়েছিল ভগবানের এক অপূর্ব স্নেহ যেন সারা শরীরে কোল্ড ক্রিমের মত কেউ মাখিয়ে দিয়েছে। গরীব মানুষগুলো নিজেদের অতি অনুন্নত জীবনযাত্রায়, এ হেন সৌন্দর্য কে অতিযত্নে প্রতিপালিত করার সেই নিদর্শন বুবুনের মনের গভীরে এক উচ্চ আসনের যায়গা নিয়ে নিয়েছিল সেদিন।
আদিবাসী পরিবারের দাওয়ায় বসে, জল ও বাতাসা খেয়ে, প্রকৃতির হাওয়া গায়ে মেখে, কুল বাগানের কুল খেয়ে, বাগানে বাগানে হৈ হৈ করে বেলা তিনটের সময় বাড়ি ফিরে মা ও মাসিদের কাছে প্রচুর ধমক ধামক খেল বুবুন। কিন্তু মনের মণিকোঠায় এক অজানা আনন্দ গেথে রইল। ছোটোবেলার এই অনুপম অনুভুতি বুবুনের জীবনস্মৃতির পাতায় এক উল্লেখ যোগ্য চ্যাপ্টার হয়ে গিয়েছিল। তারপর বেশ কয়েকবার মায়ের অনুমুতি নিয়ে অজয় নদকে দেখতে গিয়েছিল, আদিবাসী পাড়ায় কুল, আমড়া, তালশাঁস খেতে চলে গিয়েছিল। কিন্তু, প্রতিবারই এই অনুন্নত সম্প্রদায় বলে চিহ্নিত মানুষগুলোর সুন্দর অভিরুচী বুবুনের মনকে নাড়া দেয়।
আজ বুবুন একটা ভালো চাকরি করে, প্রায়শই দিল্লী যেতে হয়, ব্যাঙ্কের মহাকর্মাধ্যক্ষদের ব্যবস্থাপনায় সরকারি বাজেটের খরচার লেনদেন পর্যবেক্ষণ করতে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের, মহিলা ও শিশু কল্যাণ খাতের টাকা, কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণে মুহূর্তে দিল্লী থেকে সেপ্রান্তে পৌছে যাচ্ছে। মহিলা ও শিশু কল্যাণের কথা মাথায় আসতেই বুবুন খুব দায়িত্বশীল মনে করে নিজেকে। কি ভাবে সুদুর প্রান্তে সেই সুযোগ পৌছে যায় সেটা দেখা। সে নিজেই অনেক জায়গায় পরিদর্শনে গেছে। কিন্তু, নিজের অজান্তেই ছোটবেলার সেই ফেলে আসা দিন কখন যেন হঠাৎ করে চোখের সামনে ভেসে উঠে তা সে বুঝতে পারে না। হিসাবের চুলচেরা বিচার করতে গিয়ে মনের ভেতরে একটা করুণ বাঁশী কাঁটার মত যেন বিধে থাকে। সরকারের এত কোটি কোটি টাকা কার কাজে লাগে। সেই অসহায় মুখগুলোর কথা মনে পরে। দারিদ্র্যের শেষ সীমায় থাকা, অজয় নদের পাড়ে বেঁচে থাকা শিশুগুলোর সরলতায় ভরা জীবনে কেন সে সুযোগ পৌছায় না! জীবনকে সুন্দর রাখার কত চেষ্টা তাদের। মাটির ঘরে নানা রঙের সামঞ্জস্যে যে অপুর্ব নিদর্শন সে দেখেছে, দিল্লী বা কলকাতার কোনও আর্ট ও ক্রাফ্টের শোরূমে বুবুন দেখতে পায়নি । প্রকৃতির দানে ছড়িয়ে থাকা উপাদানে হস্তনৈপুণ্যের মাধ্যমে যে সৃষ্টি করে তাঁকে দেশ চেনেনা কেন। উন্নতির মূল স্রোতে কেন তারা আসতে পারেনা!
সময়ের আবর্তে, আধুনিকতার ছোঁয়ায় বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজন সকলেই গৃহসজ্জায় আজ মেতে উঠেছে। সরকারি গেস্ট হাউস, প্রাইভেট হোটেল, শপিং মল, রেস্তরাঁ, ছোটো দোকান, প্রত্যেকটি মানুষের বাড়ি আজ ইন্টিরিয়র ডেকরেসনে গা ভাসিয়ে রূপবতী হয়ে উঠেছে। বুবুন নিজের ঘর মায়ের শেখানো রীতিতে নানা রকম এমব্রয়ডারি করে পরিপাটি রাখে। কিন্তু, বন্ধুদের আলাপচারিতায় কিছুতেই মিল রাখতে পারলো না। দেড়-দু বছর পরপর তাদের ফ্ল্যাট রিনোভেসন যেন বুঝিয়ে দিতে থাকল যে সে আধুনিক নয়। একদিন তার চেম্বারের নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে বুবুন খোস গল্পে বলে উঠল, বিজয়দা, আমি ছোটবেলায় আদিবাসী অঞ্চলের প্রতিটি ঘরের যে পরিচ্ছন্নতা, সুন্দর হাতের যে নক্সা দেখেছি, তাদের প্রচেষ্টা দেখেছি, তাতে করে এই বাহ্যিক আলগা চটক আমার আর ভালো লাগে না। চতুর্দিকে আধুনিক চাকচিক্য, আর ভেতরে আরশোলা তাড়িয়ে স্প্রে দিয়ে সব কিছু ঢেকে রাখার নাম কি সৌন্দর্য? আমি নদীর পাড় থেকে কালবৈশাখী ঝড়কে ছুটে আসতে দেখেছি, আমি অনন্ত আকাশের দিকে তাকিয়ে বলি, ওগো মেঘ তুমি উড়ে যাও কোথায়, কোন ঠিকানায়, তোমায় কে নিয়ে যায়, কোন ঠিকানায় নিয়ে যায়? আমি যে অন্তরকে ভালোবাসি, বাইরের আড়ম্বরকে নয়। সরু নদীর কুল কুল করে বয়ে যাওয়াকে ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি বর্ষায় তাঁর তেড়ে ওঠা হুঙ্কার কে। সেই যে আমার আপন, আমার উৎস। সে যে আমার মনকে বোঝে। আমি সারা বছর সর্দিতে কষ্ট পাই, তখন ভাবি, আমি যদি অজয়ের পাড়ের সেই ঝোড়ো হাওয়াকে গায়ে মাখতে পারতাম, তাহলে সর্দি আমাকে আক্রমন করার সাহস দেখাত না। কালবৈশাখী কে আজ আর আমি ছুটে আসতে দেখি না, কারণ আমি আমার উৎস থেকে দূরে সরে গেছি। ডানা পালা মেলে তালগাছের মতো উড়ে যেতে চেয়েছি, ভুলে গেছি আমার শিকড় সেই বারান্দায় আটকে আছে।
আজ বুবুন ফিরতে চায় তার সেই প্রকৃতির কাছে, সেই বারান্দায়, সেই সুদূর পাড়ে, অজয়ের নদের কাছে। সেই আকাশ, সেই মেঘ, সেই কালবৈশাখী, সেই প্রান্ত মানুষগুলো। আমি নই সেই বিরহী, আমার কিছু বলার নেই, তবু যেন কি বেদনা জমে ওঠে হৃদয়ে। মনে হয় আমার কেউ কেন নেই! ওগো মেঘ তুমি কোথায় উড়ে যাও।

Comments