top of page

লে লাদাখ (অভিজিত মণ্ডল)

অনেকদিন কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় নি।করোনার গ্রাসে সব কিছু উলোটপালোট হয়ে গিয়েছিলো জীবনে, ঈশ্বরের অসীম কৃপায় প্রকৃতির নিয়মেই আবার সব কিছু আস্তে আস্তে ঠিক হওয়া শুরু হলো। তাই ঠিক করলাম সদলবলে আবার প্রকৃতির খুব কাছে নৈসর্গিক দৃশ্য দেখে মন ভোলানোর। জায়গা বেছে নিলাম লেহ - লাদাখ টুর। সেই পরিপ্রেক্ষিতে যাত্রীক টুর ট্রাভেলস এর সাথে গাটছাড়া বাঁধলাম।

প্রথমে ফ্লাইট এ কলকাতা থেকে দিল্লি, তারপর দিল্লি থেকে লেহ। ফেরাও সেইভাবেই হবে। ঠিক হলো সেইমতো ১৯সেপ্টেম্বর রাত্রি ৯:৪৫এর স্পাইসজেট এ দিল্লি যাওয়া হবে, কিন্তু জানা গেল প্লেন অনেক লেট্ হবে ছাড়তে। জানতে পারলাম প্রায় ১২ টা নাগাদ ছাড়বে। তাই রাত্রি ৯:৩০ এ বেরোলাম সবাই মিলে হই হই করে এয়ারপোর্ট এর উদ্দেশ্যে। যাই হোক আনন্দ তো আর মাটি করা যায় না - কপালে যাই থাক। যথারীতি রাত্রি ১:৪০ এর ফ্লাইট এ দিল্লি এলাম, দিল্লিতে নেমে ব্যাগ পত্র সব জোগাড় করে ক্যাবওয়ালা মনোজ ভাই কে খুঁজে যখন হোটেল দিল্লি এইরোসিটি তে পৌছালাম তখন ভোর পাঁচটা। আড়াই ঘন্টা রেস্ট নিয়ে হোটেল এ ব্রেকফাস্ট করে বেরোলাম সকাল ৮ টার সময়। সকাল ১০:১৫ তে লেহ র ফ্লাইট। ঠিক সময়ে পৌঁছে সিকিউরিটি চেকিং করে ফ্লাইট ধরে লেহ এয়ারপোর্ট এ পৌছালাম প্রায় ১২ টা।বেরিয়েই আমাদের জন্য ক্যাব বুকিং ছিল, তাই ক্যাব এর উদ্দেশে বেরোলাম লেহ এয়ার পোর্ট থেকে। আহা কি সুন্দর মনোরম ঐ ছোট্ট এয়ারপোর্ট টা, পুরোটাই সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে।অকল্পনীয় সুন্দর, আমার কল্পনার চেয়ে অনেক অনেক বেশি সুন্দর, চারিদিক পাহাডে় ঘেরা তার মধ্য লেহ্ এয়ারপোর্ট। মন প্রাণ জুড়িয়ে গেলো। এয়ারপোর্ট এর মধ্যে ছবি তোলা বারণ, তাই যেখানে আমাদের গাড়ি অপেক্ষা করছিলো সেখানে এসে ছবি তুললাম।

রওনা দিলাম আমাদের হোটেল লাৎস এ, ভারী সুন্দর মনোরম হোটেল ঘর থেকেই পাহাড় এর নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ করা যায়। লেহ শহর টা অনেক উঁচুতে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে 11562 ফিট ওপরে। তাই অক্সিজেন লেভেল স্বাভাবিক এর থেকে অনেকটাই কম থাকে। শ্বাস প্রশ্বাসের একটু সমস্যা হয় বৈ কি। এদিকে কল্পনা কলকাতা থেকেই শরীর খারাপ নিয়ে এসেছিলো। জ্বর এর ওষুধ খাইয়ে নিয়ে এসেছিলাম। এখানে এসে ওর সমস্যা আরো বাড়লো। কিন্তু ২০ তারিখ টা আমাদের পুরো রেস্ট থাকার জন্য অনেক সুবিধা হলো।




২১ তারিখে সকালে ব্রেকফাস্ট করে বেরোলাম একটা ক্যাব করে লোকাল সাইট সিন এ। দেখলাম হেমিস মনেস্ট্রি, থিকসে মনেস্ট্রি, সেহ প্যালেস। মনেস্ট্রি গুলো প্রায় একই ধরণের হয়। একদম পাহাড় এর উপরে। তাই অনেক সিঁড়ি ভেঙে আমরা সবাই যখন ক্লান্ত, তখনি ড্রাইভার স্টেইঞ্জি বললো সিন্ধু ঘাট এসে গেছে, আনন্দ নিন। সিন্ধু ঘাট দর্শনে এলাম। ১৭.০৬.২০০৬ এ আমাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপায়ী এই ঘাট টিকে উদ্বোধন করেছিলেন। এখনো তার নির্মাণ কার্য চলছে, মানসসরোবর এর সিংহমুখ থেকে নিঃসৃত জল এসে বয়ে যায়। বেশ কিছুক্ষন বসলাম। বেরিয়েই দেখি সিভিল অভিয়েশন ডিপার্টমেন্ট এর একটা হেলিকোপ্টার কয়েক হাত দুরে ওড়ার চেষ্টা করছে। সেই ওড়ার দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করলাম। তারপর ওখান থেকে সোজা হোটেল এ এসে খেয়ে দেয়ে আবার সাড়ে তিনটায় বেরোলাম শান্তি স্তুপ এর উদ্দেশে। শান্তি স্তুপ লাদাখ এর চান্সপা পাহাড় এর ওপরে, প্রায় ১১৮৪১ ফুট ওপরে। কি মনোরম নৈসর্গিক দৃশ্য, প্রকৃতি দু হাত উপুড় করে দিয়েছে শহরটাকে। অনেক দৃশ্য ক্যামেরা বন্দী করলাম, আর শান্তি মনে হোটেল এ এসে ঠান্ডায় গৃহ বন্দি হলাম। আজ লেহ্ শহরের তাপমাত্রা প্রায় ৬ -৯° সেলসিয়াস ছিল। রাত্রে ২° এর নিচে চলে যাচ্ছে, কিন্তু অদ্ভুত ভাবে হোটেল এর ঘর গুলোর ভিতরে কোনো ঠান্ডা লাগছে না। স্যান্ডো গেঞ্জি পরেও থাকা যাচ্ছে।












22 তারিখ, সকাল ৯ টার মধ্যে স্নান করে খেয়ে হোটেল থেকে বেরোলাম পাঁগং লেক দর্শনের জন্য।আমাদের থাকাও হবে ঐ পাঁগং এই। প্রায় ২১৭ কিলোমিটার পাহাড়ের যাত্রা লেহ থেকে পাঁগং। পথে ৭৫ কিমি পেরিয়ে চাঙলা পাস। পাহাড়ের নৈসর্গিক দৃশ্য, সাথে প্রকৃতির যত সম্ভার দুই হাত তুলে উজাড় করে ঢেলে দেওয়া উপহার দেখতে দেখতে চাঙলা পাস চলে এলাম। চাঙলা পাস পৃথিবীর দ্বিতীয় উচ্চতম পাস প্রায় ১৭৬৮৮ ফিট উচ্চাতায়। বরফের দেশে পৌঁছে কি আনন্দই যে হচ্ছিলো লিখে বোঝানো অসম্ভব। সাথে হাড় হিম করা ঠান্ডা। বেশ কিছু পটাপট ফটো তুলতেই দেখি আঙ্গুল গুলো অবশ হয়ে আসছে। বেশি দেরি না করে উঠে পড়লাম গাড়িতে, তারপর আবার পথ চলা শুরু। মাঝে পাহাড়ি রাস্তায় জ্যাম, প্রায় তিন জায়গায় আটকালাম এবং দেড় ঘণ্টা নষ্ট হলো। অবশেষে যখন পাঁগং লেক এ এসে পৌঁছলাম তখন পাঁচ টা বাজে। কিন্তু রাস্তার এতটা শারীরিক ক্লান্তি নিমেষে উধাও হয়ে গেলো অপরূপ দৃশ্য দেখে। পৃথিবীর দ্বিতীয় উচ্চতম লেক। সমুদ্র থেকে ১৩৮৬২ ফিট উপরে। পাহাড়ের উপরে নীল জলে মায়াচ্ছন্ন হয়ে গেলাম। সূর্য তার যাত্রা র অন্তিম লগ্নে পাহাড়ের উপরে মনে হচ্ছে সোনা দিয়ে মুড়ে দিয়েছে, আর কাঁচের মতো স্বচ্ছ পাঁগং সেই সোনা মোড়ানো পাহাড় কে নিশ্চিন্তে সোহাগ করে আমাদের মানসচক্ষুর অদৃশ্যলোকের দৃশ্য-অবগুন্ঠন উন্মোচিত করলো। আমরা তা লুটে পুটে প্রকৃতির এই চোখ জুড়ানো সোহাগ দেখছিলাম, সেই থ্রী ইডিয়টস এর স্বপ্নের জগৎ এ পৌঁছে গিয়েছিলাম, মনে হচ্ছিল লেকের পাশের খাঁড়িতে ঐতো পিয়া স্কুটি নিয়ে রাঞ্চো এর সাথে মিলিত হতে যাচ্ছে।স্বপ্ন ভঙ্গ হলো ট্যুর ম্যানেজার এর ঠেলায় 'চলুন গাড়িতে উঠুন দেরি হচ্ছে ।' আহাঃ, কি মনোরম দৃশ্য। অন্তরের সারেগামা গুলো বাজতে শুরু করলো প্রকৃতির এই সৌন্দর্য অবলোকন করে।এক এক সময় পাহাড়ের রং পরিবর্তিত হচ্ছে সূর্য-মামার মনের রঙের সাথে মিলিয়ে। পাঁগং লেক ধরে যাত্রা শুরু করলাম থাকার জায়গায়, টেন্ট এর মতো কিছু ঘরে। অপরূপ সব ছোট্ট ছোট্ট ঘর হোটেল ঠিক বলা যায় না। The Horizon এইখানে কিছু ছোট্ট টেন্টের মতোই ঘর তৈরী করেছে। ঘরের উপরের কিছুটা অংশ কাঁচ দেওয়া যাতে রাত্রে আকাশ এর তারা দেখতে দেখতে নৈসর্গ লোকে পৌঁছে যাওয়া যায়। ঐ ছোট্ট ঘরের মধ্যই টয়লেট এর আলাদা করে ব্যবস্থা আছে। মনে হচ্ছে বেশ কিছু বাড়ি নিয়ে লেক এর পাশে ক্ষেতের মধ্যে টেন্ট গুলো। স্বপ্নেও ভাবিনি কোনোদিন এইরকম স্বপ্ন বাস্তব হবে। তবে অত্যাধিক কনকনে ঠান্ডা। রাত্রের গরম খাবার খেয়েই কম্বল আর লেপের তলায় তারা দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়েছি।সকাল হলো, বেড টি নিয়ে তাড়াতাড়ি ব্রেক ফাস্ট করে আমরা বেরোলাম নুব্রা ভ্যালি র উদ্দেশ্য। পথে আবার পাঁগং এর অনেক দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করে মনে হলো সৌন্দর্য কিছুটা হলেও বিজ্ঞানের দৌলতে মুঠোফোনের মাধ্যমে আমার অধীন হয়ে থাকলো।






২৩ শে সেপ্টেম্বর, পাঁগং থেকে নুব্রা প্রায় ১৬৮ কিমি দূরে, পথ চলা শুরু আমাদের গাড়ির ড্রাইভার স্টানজিং এর সাথে গান শুনতে শুনতে। পাহাড় থেকে অনেকটাই নিচে নুব্রা ভ্যালি, ১০০০০ ফিট উঁচুতে সমুদ্র পৃষ্ট থেকে। এবং অনেক সবুজ ও সতেজ, কারণ অনেক গাছপালা রয়েছে। এতদিন শুধু পাহাড় দেখে এসেছি, এবারে প্রকৃতির আরেক রূপ। এখানে এসে উঠলাম পাহাড় কেটে তৈরী লাক্সাঙ হোটেল এ। হোটেল এর মাথার উপরে দিস্কিট মনিস্ট্রি যেখান থেকে পুরো নুব্রা ভ্যালি দেখা যায়। চোখ জুড়ানো প্রকৃতির শোভা দেখতে নিত্যদিন ব্যাংকের কাজের যে মানসিক যন্ত্রনা, সব ভুলে গেলাম।তিনটের পর বেরোলাম হান্ডার, যেখানে দুই কুঁজ ওয়ালা উটের পিঠে চাপা যায়। সেই উঠের পিঠে আমি আর কল্পনা সওয়ার হলাম, আনন্দ বাকি থাকে কেন? তারপর দিস্কিট মনেস্ট্রি তে গেলাম। যেখান থেকে পুরো নুব্রা ভ্যালি দেখা যায়। যেমন চিত্তরঞ্জন এর হিলটপ, সাথে বিশাল বুদ্ধ মূর্তি। এর পর সোজা হোটেল এ।









২৪ শে সকাল সাড়ে আটটায় বেরোলাম নুব্রা থেকে তুর্তুক এবং থাং গ্রাম দেখার জন্য। এই দুটি গ্রাম এই এলাকায় ভারতের শেষ গ্রাম। থাং নুব্রা থেকে প্রায় ৯০ কিমি দুরে। থাং এ এসে অদ্ভুত শিহরণ জাগবে মনে, কারণ কয়েক হাত দুরে শত্রু পক্ষ পাকিস্তান, এমন কি লেখাও রয়েছে আপনি শত্রু পক্ষের নজরে আছেন। দুরে দেখা যাচ্ছে চেকপোস্ট, বাংকার। ওখানকার একজন স্থানীয় অধিবাসী র কাছে জানতে পারলাম ১৯৭১ র আগে এই অঞ্চল টা পাকিস্তান এ ছিল আর ১৯৭১ এর যুদ্ধে ভারত নিয়ে নেয় তাই এমন অনেক পরিবার আছে যাদের দুই ভাই দুইদিকে চাষ করছে দেখতে পায় কিন্তু যাওয়ার উপায় নেই। এমনও পরিবার মা বাবা চলে গেছে ঐপারে বাচ্চারা দাদু -দিদার সাথে। রাজনীতির প্রেক্ষাপটে মানুষের ভাবনা কবেই বা স্থান পেয়েছে, যেমন দেশ ভাগের যন্ত্রনা আজকে ও অনেক পরিবার বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। এইদিকে, তুর্তুক গ্রাম টাও ভারতের শেষ গ্রাম। সেখানে লাঞ্চ সেরে সোজা নুব্রার হোটেল এ।




২৫ তারিখ। আজকে সকালে নটার মধ্য বেরোলাম, লেহ ফিরে যাবো। মাঝে খারাদুঙলা পাস। পথে যেতে যেতে বরফ পড়া শুরু হলো। উফফ কি আনন্দ! সবাই নিচে নেমে পড়লাম পুল্লু তে, অনেক ফটো তুললাম, তারপর রাস্তার ধাবায় গরম চা খেয়ে গরম হয়ে একটু এগোতেই দেখি খারদুঙলা এসে পড়েছি। তখন বরফে পুরো ভ্যালি দুধ সাগর হয়ে গেছে। এতো বরফ পড়েছে যে গাড়ি তে চেন লাগাতে হলো। আমরা বিশেষ করে বাঙালিরা বরফ দেখতে পারলেই আনন্দে ভাবি কৈলাস চলে এসেছি, আর এতো বরফ পড়ছে নিমেষে সবাই সাদা হয়ে যাচ্ছে। যাইহোক বরফ স্মৃতির সুখানুভূতি নিয়ে লেহ তে পৌছালাম।




২৬। আজকে কার্গিল, দ্রাস যাওয়ার জন্য রওনা দিলাম, প্রায় ২৩০ কিমি রাস্তা। যেতে যেতে পথেই পেলাম মাগনাটিক হিল, ড্রাইভার গাড়ির স্টার্ট বন্ধ করে দাড় করিয়ে দিলো কিন্তু অদ্ভুত ভাবে গাড়িটা আস্তে আস্তে গড়াতে শুরু করলো, কি তাজ্জব ব্যাপার না!

কিছু ঘটনা এই জগৎ এ রহস্যই থাকে, তা থাকুক। কিন্তু কিছু দূর এগিয়ে সমস্যায় পড়লাম দেখলাম গাড়ির লাইন, নেমে হেঁটে কিছুটা এগোতেই দেখি আগের দিন বৃষ্টি হওয়াতে পাহাড়ের বেশ কিছুটা অংশ রাস্তায় নেমে এসেছে, পুরো রাস্তা মনে হচ্ছে পাহাড়। সেখানে দেড় ঘন্টা দেরি হলো যাইহোক এরপরে মুনল্যাণ্ড পেরিয়ে ফোটুলা টপ। রাস্তায় আরো কিছু জায়গায় থেমে শেষে পৌছালাম কার্গিল। বেশ জনবসতি পূর্ণ কার্গিল শহর টা।





২৭ এর সকালে কার্গিল মেমোরিয়াল দর্শনে এলাম। ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে বীর শহীদ দের আত্মবলিদান এর কাহিনী শুনলাম। কি ভাবে আমরা টাইগারহিল, ফিঙ্গার ১, গানহিল, ব্ল্যাকটুথ, হাম্প, টলোইং সব টপ গুলো রিক্যাপচার করেছিলাম। সত্যি এই বীরপুরুষদের বীরত্বের জন্যই আজকে ভারত বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে, আজকে আমরা সগর্বে বিশ্বের যেকোনো শক্তি কে টক্কর দিতে পারি। ভারত মাতা কি জয় বলে রোমাঞ্চিত হোলাম।

গৌরব এর কথা শুনতে সবাইয়েরি সুখানুভূতি হয়। তাই সেই আনন্দের রেশ টা ধরে রেখেই আমার মনে হয় আমাদের লাদাখ সফর এইখানেই শেষ করা ভালো। মনে থাকবে লাদাখ – তোমাকে, অপূর্ব প্রকৃতির সুন্দরী রূপটাকে মনের গহীনে স্থান করে দেবার জন্য।




বিঃদ্রঃ - পুরো লেখাটা লিখলাম গাড়ির পিছনে বসে সফর করতে করতে। খাতা পেন নেই, কার্গিল এর হোটেল থেকে বেরিয়ে গাড়ির একদম পিছনের সিটে ডাইরেক্ট মোবাইল এই লিখলাম। তাই একটু ভুল ত্রুটি মার্জনীয়।































































Commentaires


bottom of page