top of page

ক্যামেরায় সত্যজিৎ প্রণাম

ক্যামেরায় সত্যজিৎ প্রণাম

স্নিগ্ধা কর

একটি আর্ট গ্যালারী, বাংলা ভাষায় চিত্রশালায় বসে আছি জমিয়ে আড্ডার মাঝেই সন্দীপনের ডাক, "মোনালিসা কথা বলবে" বলে মুঠো ফোন ধরিয়ে চলে গেল।

যাঃ বাবা!! "মোনার হুকুম" ওদের ম্যাগাজিনে সর্বসাধারণের জন্য কিংবদন্তী বাঙালি, যিনি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাট্যকার,ঔপন্যাসিক এবং চলচ্চিত্রকার- সত্যজিৎ রায় - তাঁর জন্মের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আলোকচিত্রের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন।

যদিওবা আলোকচিত্রী হিসেবে কাজ করতে হয় আমায়। কিন্তু তাই বলে সত্যজিৎ রায়! যার নাম শুনলেই কাগজ-কলম- কালি জড়াজড়ি শুরু করে!

চলচ্চিত্র জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র যিনি গোটা চলচ্চিত্র তো বটেই এমনকি পুরো ভারতীয় সিনেমার প্রেক্ষাপটকেই বদলে দিয়েছিলেন। তিনি হলেন সকলের প্রিয় বাঙালি কিংবদন্তি, বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়। ১৯২১ সালে ২ মে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়। সাহিত্য ও শিল্পের জগতে খ্যাতনামা পরিবারেই তার জন্ম ।

তাঁর “পথের পাঁচালী” ছবিটি ভারত তথা বিশ্বব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয়তালাভ করেছিল। “পথের পাঁচালী” ছবিটি মোট ১১ টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছিল। তারপরের দুটি ছবি “অপরাজিত”, “অপুর সংসার”। এই তিনটি ছবিই বিশ্বদরবারে অপুর ত্রিলজি নামে পরিচিত। “অপরাজিত” ছবির সাফল্যই তাঁকে আন্তজার্তিক মহলে আরও পরিচিত করে তুলেছিল। যদিও ১৯৬২ সালে প্রথম রঙীন বাংলা ছবি “কাঞ্চনজঙ্ঘা” তৈরি করেছিলেন সত্যজিৎ রায়। তাঁর বর্ণময় কর্মজীবনে বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছেন। তবুও সাদা-কালো ছবিতেই বাংলা সিনেমার নতুন প্রেক্ষাপট রচিত করেছিলেন শ্রী সত্যজিৎ রায়।

তাঁর এই সাদা -কালো ছবির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেতে আমি আমার কিছু আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবি দিলাম। এখানে আমার অপু-দূগ্গারাও আধুনিক সমাজের ভাষায় সভ্য নয়। নেই তাদের প্রাচুর্যের আতিশয্য। তবু যা আছে স্নিগ্ধ সুষমায় সুসজ্জিত। তাদের এই সারল্য ও স্নিগ্ধতাই আমায় মুগ্ধ করে, ওদের সাথে মিশতে। পরের দিন কি খাবে তার ঠিক নেই তা বলে আজকে বাঁচতে চাওয়া টা ভুলে যায় না ওঁরা। কি সাধারণ জীবন যাপন করেও খুশী থাকা যায় এদের না দেখলে বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়, একটু পান্তা ভাতে চানাচুর হলো অমৃত। হয়তো আমার কোনো কোনো বন্ধু বলবেন ওরা হাড়িয়া খেয়ে পেট ভরায়, কাছাকাছি যেতেই দেয় না সবাইকে! কেন দেবে বলুন তো! আমরা কি করতে পেরেছি এই মানুষগুলোর জন্য! হয়তো অনেক বড়ো তর্ক বির্তক চলতেই থাকবে এই ধরনের প্রসঙ্গে। যদি কেউ একমতাবলম্বী নাই হন, আমায় নিজগুণে মার্জনা করবেন। সত্যজিৎ রায়কে শতকোটি প্রণাম সেই সময় থেকেই তিনি গরীব মানুষের কথা তাঁর চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বলে এসেছেন। আজ তাঁকে সম্মান প্রদর্শন করে আমার ছোট্ট একটা প্রচেষ্টা।



Playing moment




Amar Apu Dugga




Care




Village story




Village Moment




Playing time




Crimson




Real life




Ajker Apu dugga



স্নিগ্ধা কর

 
 
 

Yorumlar


bottom of page